1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

‘ট্যাক্স দিবেন মিষ্টি খাবেন, ট্যাক্স দিবেন না ফাইন খাবেন’: মেয়র আতিক

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২১৮ Time View

বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘ট্যাক্স দিবেন মিষ্টি খাবেন, আর যারা ট্যাক্স দিবেন না তারা ফাইন (জরিমানা) খাবেন’।

মঙ্গলবার (১৫ সেপেটেম্বর) সকাল ১০টায় গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরে অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড ইত্যাদি উচ্ছেদের সময় জনৈক ব্যবসায়ী ডিএনসিসি থেকে পূর্বেই অনুমোদন নিয়ে নির্ধারিত মাপে সাইনবোর্ড স্থাপন করায় মেয়র তাকে মিষ্টি খাওয়ানোর পরে এ কথা বলেন। একটি ব্যাংক তাদের সাইনবোর্ডের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ায় ঐ ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে মিষ্টি খাওয়ান।

উচ্ছেদ পরিদর্শনকালে মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি সবাইকে বলব এই শহরটা কিন্তু আমাদের, এই শহরে আমরা উপার্জন করি। আমাদের বাচ্চারা পড়াশোনা করে, এই শহরে আমারা বড় হয়েছি। এ শহরকে ভালবাসতে হবে। যে ঘরে আমি থাকি সেই ঘরের প্রতি যদি মায়া না করি, যে ঘরে থাকি সে ঘরে যদি থুথু ফেলি, তাহলে হবেনা। এই যে আজকে বড় বড় ডেভেলপাররা কীভাবে তাদের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিল, সিটি করপোরেশনকে কোন ধরনের ট্যাক্স না দিয়ে? এই শহরে আপনাদের এত বড় বড় ব্র্যান্ডিং করবেন, আপনি ব্যবসা করবেন, আর সিটি কর্পোরেশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোন ট্যাক্স দিবেন না, এটি হতে পারে না। আমি সবাইকে বলতে চাই শহরে কোন ধরনের সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে, আগে দেখুন সিটি কর্পোরেশনের নিয়ম কি? বিদেশে তো আপনারা এরকম করতে পারবেন না। এদেশে কেন করবেন? এই দেশেরও গার্জিয়ান আছে। জনগণ চায় সিটি পরিষ্কার থাকুক। জনগণ চায় তারা ফুটপাত দিয়ে যেন নির্বিঘ্নে হাঁটতে পারে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ফুটপাত সড়কে অবৈধভাবে থাকা বিভিন্ন সামগ্রী নিলাম করে দিচ্ছি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজ সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি অপসারণ করছি। আমি জনগণকে অনুরোধ করবো আপনারা আমাদেরকে জানান। এরকম কোন কোন ফুটপাত ও রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী রেখে দেয়।

মেয়র আরো বলেন, এই শহরে তারা ব্যবসা করছেন, তারা কিন্তু ‘ফিলান্থ্রোপি’ করছেন না। তারা ট্যাক্স দেবে না কেন? সিটিকে সুন্দর করতে গেলে সিটি কর্পোরেশনকে ট্যাক্স দিতে হবে। আজকে আমরা গুলশান, বনানী এবং প্রগতি সরণিতে অভিযান শুরু করেছি। বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড স্থাপন করার জন্য নীতিমালা আছে। এগুলো লাগানোর সময় নীতিমালা মানতে হবে। আমরা এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি, মিডিয়ায় প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানিয়েছি, প্রত্যেকটি গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, এমনকি মাইকিংও করা হয়েছে। অনেকেই গত দুই দিনে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে অনুমোদন নিয়েছেন। একটি শহরের ভেতরে এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম চলতে পারে না। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি ফুটপাত ও সড়কে রাখা অবৈধ মালামাল উচ্ছেদ অব্যাহত থাকবে।

গুলশানে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ১৫০টি অবৈধ সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। বনানী ১১ নম্বর সড়কে অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এর নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রায় শতাধিক সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া সড়ক ও ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টির কারণে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়া প্রগতি সরণিতে অঞ্চল ৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের পরিচালনায় উচ্ছেদ অভিযানে মোট ৫২টি সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া ফুটপাত ও সড়কে অবৈধভাবে মালামাল রাখায় তা নিলামে ৬৬ হাজার ৭০০ টাকা নিলামে বিক্রয় করা হয় এবং ৯টি মামলায় ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উল্লেখ্য, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গত ৩ দিনে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ডিএনসিসিকে জমা দিয়ে সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড অনুমোদন নেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..